নতুন এমপিও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক/কর্মচারীদের জন্য মাউশি বিজ্ঞপ্তি
শিক্ষামন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক নতুন এমপিও ভুক্ত অথবা স্তর পরিবর্তনকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহের মধ্যে যে সকল শিক্ষক/কর্মচারী এমপিও ভুক্ত হতে পারেন নি বা যারা কোন প্রকার বকেয়া ছাড়াই উচ্চতর গ্রেডে উন্নীত হয়েছেন তাদের জন্য একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে মাউশি।
জানানাে হয় যে, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে সূত্রোক্ত স্মারকসমূহের মাধ্যমে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামাে ও এম.পি.ও. নীতিমালা-২০১৮ অনুযায়ী মােট ১৬৩৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ) এর অনুকূলে এম.পি.ও কোডসহ বিধি মােতাবেক নিয়ােগপ্রাপ্ত যােগ্য শিক্ষক-কর্মচারীদের ০১ জুলাই, ২০১৯ হতে বেতন-ভাতাদি প্রদানের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়। উক্ত নির্দেশনা অনুসারে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর হতে এপ্রিল-২০২০ এবং মে-২০২০ মাসে দু’টি বিশেষ এম.পি.ও’র মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-কর্মচারীদের এম.পি.ও ভুক্ত করা হয়েছে।
উক্ত দুইটি এম.পি.ও.তে যে সকল যােগ্য শিক্ষক-কর্মচারী এমপিওভুক্ত হতে পারেননি অথবা যে সকল প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ প্রতিষ্ঠানের স্তর পরিবর্তনজনিত কারণে বকেয়া ছাড়াই উচ্চতর গ্রেডে উন্নীত হয়েছেন তাদের জন্য নিম্নরূপ নির্দেশনা প্রযােজ্য হবে:
ক) এম.পি.ও, পাওয়ার যােগ্য যে সকল শিক্ষক-কর্মচারী এখনও এম.পি.ও ভুক্ত হতে পারেননি তারা চলমান নিয়মিত এম.পি.ও’র সাথে যথাযথ প্রক্রিয়ায় অনলাইনে আবেদন করে প্রথমে বকেয়া ছাড়াই এম.পি.ওভুক্ত হতে পারবেন। এরূপ শিক্ষক-কর্মচারী যে মাসে/এম.পি.ও.তে এম.পি.ও ভুক্ত হবেন তার পরের এম.পি.ও.তে যথাযথ কাগজপত্রসহ অনলাইনে আবেদন করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মােতাবেক ০১ জুলাই, ২০১৯ হতে বকেয়া বেতন-ভাতা পাবেন (উদাহরণ: এরূপ কোন শিক্ষক/কর্মচারী যদি সেপ্টেম্বর-২০২০ মাসে বকেয়া ছাড়া এম.পি.ও ভুক্ত হয় | তাহলে উক্ত শিক্ষক/কর্মচারী নভেম্বর-২০২০ মাসের এম.পি.ও.তে ০১ জুলাই, ২০১৯ হতে আগস্ট-২০২০ পর্যন্ত বকেয়া বেতন ভাতাদির জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং তিনি তা প্রাপ্য হবেন।
আবার কোন শিক্ষক/কর্মচারী যদি নভেম্বর-২০২০ মাসে বকেয়া ছাড়া এম.পি.ও ভুক্ত হয় তাহলে উক্ত শিক্ষক/কর্মচারী জানুয়ারি-২০২১ মাসের এম.পি.ও.তে ০১ জুলাই, ২০১৯ হতে অক্টোবর-২০২০ পর্যন্ত বকেয়া বেতন ভাতাদির জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং তিনি তা প্রাপ্য হবেন।
এক্ষেত্রে যদি কোন শিক্ষক/কর্মচারীর চাকরিতে প্রথম যােগদানের তারিখ ০১ জুলাই, ২০১৯ এর পরে হয় তাহলে তার চাকরিতে প্রথম যােগদানের তারিখ হতে বকেয়া বেতন ভাতাদি প্রাপ্য হবেন। তবে কোন শিক্ষক-কর্মচারী যদি ১৯ এপ্রিল, ২০২০ এর পরে নিয়ােগপ্রাপ্ত হয়ে থাকেন তাহলে তিনি কোন বকেয়া বেতন ভাতাদি প্রাপ্য হবেন না); এবং
- [spacing size=”10″]
খ) শিক্ষা প্রতষ্ঠানের স্তর পরিবর্তনজনিত কারণে যে সকল প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ উচ্চতর স্তরে/গ্রেডে উন্নীত হয়েছেন কিন্তু উচ্চতর গ্রেডের জন্য ০১ জুলাই, ২০১৯ হতে বর্ধিত অংশের বকেয়া (নতুন/উচ্চতর গ্রেডের মূল বেতন-পূর্বের গ্রেডের মূল বেতন =বর্ধিত বকেয়া বেতন ভাতাদি পাননি সেসকল শিক্ষক-কর্মচারী যথাযথ কাগজপত্রসহ নিয়মিত এম,পি,ও.তে অনলাইনে আবেদন করে বর্ধিত অংশের বেতন ভাতার বকেয়া প্রাপ্য হবেন (উদাহরণ: ধরা যাক কোন নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের স্তর পরিবর্তন হয়ে মাধ্যমিক পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে।
এক্ষেত্রে ঐ প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক পূর্বে ৮ নম্বর গ্রেডে বেতন পেতেন কিন্তু মাধ্যমিক পর্যায়ে উন্নীত হওয়ার কারণে তিনি ৭ নম্বর গ্রেডে ইতােমধ্যে উন্নীত হয়েছেন কিন্তু বেতন গ্রেড উন্নীত হওয়ার পরও তিনি বর্ধিত বেতনের ০১ জুলাই, ২০১৯ হতে বকেয়া বেতন ভাতাদি পাননি। এরূপ ক্ষেত্রে উক্ত প্রধান শিক্ষকের এক মাসের বকেয়া হবে ৭ নম্বর গ্রেডে গৃহীত মূল বেতন-৮ নম্বর গ্রেডের গৃহীত মূল বেতন=বর্ধিত অংশের বকেয়া অর্থাৎ ২৯,০০০-২৩,০০০ =৬০০০ টাকা।
এভাবে তিনি যে মাসে উচ্চতর গ্রেডে উন্নীত হয়েছেন সে মাসের পূর্ববর্তী মাস পর্যন্ত বকেয়া প্রাপ্য হবেন। যদি তিনি বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট প্রাপ্ত হয়ে ইতােপূর্বে বেতন ভাতা গ্রহণ করে থাকেন তাহলে ঐ ইনক্রিমেন্টের টাকাও বকেয়া হতে কর্তন করতে হবে। যেমন ঐ প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক যদি ৭ নম্বর গ্রেডে ১টি ইনক্রিমেন্ট পেয়ে থাকেন তাহলে এক মাসের বকেয়া হবে ২৯,০০০-২৪,১৫০ =৪,৮৫০ টাকা। একবার নিম্ন গ্রেডে উৎসব ভাতা উত্তোলন করার পর ভূতাপেক্ষভাবে উচ্চতর গ্রেডে উন্নীত হলেও উচ্চতর গ্রেডের জন্য বকেয়া উৎসব ভাতা দাবি করা যায় না বিধায় এক্ষেত্রেও বর্ধিত বেতন অংশের জন্য কোন বকেয়া উৎসব ভাতা দাবি করা যাবে না)।
২। এরূপ বকেয়া বেতন ভাতার আবেদন অগ্রায়ণ/অনুমােদনের ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে তথ্য অনুসন্ধান/যাচাইয়ের সুবিধার্তে সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে, জেলা শিক্ষা অফিসে, আঞ্চলিক উপপরিচালকের অফিসে এবং আঞ্চলিক পরিচালকের অফিসে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-কর্মচারীদের নাম, ইনডেক্স নম্বর ও বকেয়ার পরিমাণসহ একটি তালিকা সংরক্ষণ ও তা নিয়মিতভাবে হালনাগাদ করতে হবে।
৩। এ আদেশ শুধুমাত্র সূত্রোক্ত স্মারকসমূহে বর্ণিত ১৬৩৮টি এম.পি.ওভুক্ত/এম.পি.ও. স্তর পরিবর্তনকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ)-এর এম.পি.ও. পাওয়ার যােগ্য কিন্তু এখনও এম.পি.ও ভুক্ত হতে পারেননি এরূপ শিক্ষক-কর্মচারী এবং এই প্রতিষ্ঠানসমূহের যে সকল প্রধানগণ ০১ জুলাই, ২০১৯ হতে বকেয়া ছাড়াই উচ্চতর গ্রেডে উন্নীত হয়েছেন তাদের জন্য প্রযােজ্য এবং তা অবিলম্বে কার্যকর হবে।